ঘন ঘন ভারত-পাকিস্তান লড়াই দেখতে চান আফ্রিদি

ক্রিকেট বিশ্বে বহু আকাঙিক্ষত লড়াই ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ। চিরশত্রু দুই পড়শির ম্যাচ দেখতে উন্মুখ থাকেন কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমী। আগে তাদের ‘যুদ্ধ’ বেশি বেশি দেখা গেলেও এখন মেলে কালেভদ্রে। তাই ঘন ঘন দু’দলের লড়াই দেখার আকুতি জানালেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি।

১৫ আগস্ট ছিল ভারতের ৭২তম স্বাধীনতা দিবস। বিশেষ দিনটিতে দেশটিকে শুভকামনা জানিয়ে শুভেচ্ছা জানান আফ্রিদি। পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান দ্বন্দ্ব নিরসন করে কোহলি-আমিরদের বেশি বেশি লড়াই দেখার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এক টুইটবার্তায় বুমবুমখ্যাত ক্রিকেটার বলেন, আমাদের সীমান্তের ওপারের প্রতিবেশি দেশ ভারতকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। আমি আশা করব, উপমহাদেশে একটি অধিকতর সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধশালী অঞ্চলের জন্য বিদ্যমান ইস্যুগুলো সমাধানে এখন থেকে একসঙ্গে কাজ করবে ভারত-পাকিস্তান। প্রত্যাশা করি, পাক-ভারত ক্রিকেট ম্যাচ আরো ঘন ঘন অনুষ্ঠিত হবে।

এরপর থেকেই প্রশংসাবৃষ্টিতে ভিজছেন আফ্রিদি। সবার পাচ্ছেন অকুণ্ঠ সমর্থন।

ভারত-পাকিস্তান সবশেষ দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে ২০১২ সালে। তারপর থেকে দু’দেশের মধ্যে রাজনৈতি উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় তা বন্ধ রয়েছে। এমনকী পাকিস্তানের বিপক্ষে এফটিপি নির্ধারিত ম্যাচগুলোও খেলতেও গড়িমসি করে ভারত।

দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দ্বিপক্ষীয় টেস্ট সিরিজ খেলে তারও বহু আগে। ২০০৭ সালে ক্রিকেটের অভিজাত সংষ্করণের মুখোমুখি হয় তারা। তবে শিগগির ভারত-পাকিস্তানের লড়াই দেখার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেট রোমান্টিকরা। আসছে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপে মুখোমুখি হবে তারা।

 

এমবাপ্পেকে রিয়ালের না পাওয়ার কারণ

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে মোনাকো ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এরপর প্যারিসেই বসত গেড়েছেন তিনি। তবে সেই সময় তাকে পেতে পারত রিয়াল মাদ্রিদও! কিন্তু মোনাকো ভাইস প্রেসিডেন্ট ভাদিম ভাসিলিয়েভের ঘোর বিরোধিতায় ১৮-এর বিস্ময়কে পাওয়া হয়নি লস ব্লাঙ্কোদের।

অবশ্য ভাদিমকে এখনো ভুলেনি রিয়াল। এমবাপ্পেকে না পাওয়ার কারণে তাকেই দোষারোপ করে যাচ্ছেন স্প্যানিশ জায়ান্ট প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। তা স্বীকার করেছেন খোদ ভাদিম নিজেই, আমরা খুব ভালো বন্ধু। এখনো আমাদের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন অটুট।

তবে যখনই তার (পেরেজ) সঙ্গে দেখা হয়, তখনই সে আমাকে ওকে (এমবাপ্পে) না পাওয়ার জন্য দোষারোপ করে। আমি নাকি তাদের কাছে তাকে বিক্রি করতে দিইনি। আমার নাকি পছন্দ ছিল পিএসজি।সেই এমবাপ্পেই এখন বিশ্ব ফুটবলের বড় সুপারস্টার।

২০ বছর পর ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জেতাতে রেখেছেন অসামান্য ভূমিকা। ইতিমধ্যে রিয়াল থেকে বিদায় নিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এরপর প্রথম বড় ম্যাচে খেলতে নেমে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে ৪-২ গোলে উয়েফা সুপার কাপ খুইয়েছে রিয়াল।

সিআর সেভেনের শূন্যস্থান কেউ পূরণ করতে পারছেন না। গ্যালাকটিকোরা তাই আফসোস করতেই পারেন, ওই সময় এমবাপ্পেকে পাওয়া হলে সেই শূন্যতা তৈরি হতো না।



from SportsTier Bangla https://ift.tt/2BqtVgW

Post a Comment

Previous Post Next Post

element