বিশ্বকাপের স্কোয়াড গঠন নিয়ে তুমুল বিতর্ক মাথায় নিয়েই বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ভারতে পা রেখেছিল সেপ্টেম্বরের ২৭ তারিখে। ঠিক দেড় মাস বাদে তারা রবিবার দেশে ফিরেছে ব্যর্থতার গ্লানি, একরাশ সমালোচনা ও বিতর্ক নিয়েই।
টুর্নামেন্টের শুরুতে যে দলটার স্বপ্ন ছিল অন্তত সেমিফাইনালে ওঠা – তাদের এখন একমাত্র সান্ত্বনা হল কোনওক্রমে বছরদেড়েক বাদে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যোগ্যতা অর্জন করতে পারা।
সেটার জন্যও তাদের তাকিয়ে থাকতে হয়েছে রবিবার ব্যাঙ্গালোরে ভারত বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচটার দিকে।
বৃষ্টিতে কোনও কারণে রাউন্ড রবিন লীগের এই শেষ ম্যাচটা ভেস্তে গেলে ডাচরা বাংলাদেশের সেই আশাতেও জল ঢেলে দিতে পারত।
এই বিশ্বকাপে মোট ন’টা ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে মাত্র দুটোতে – প্রথম ম্যাচে ধরমশালায় আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে, আর আট নম্বর ম্যাচে দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। বাকি সাতটা ম্যাচের কোনওটাতেই তারা সেই অর্থে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি।
এরই মধ্যে কলকাতায় বেশ কয়েক হাজার সমর্থকের উপস্থিতিতে ইডেন গার্ডেন্সে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে লজ্জাজনক হার বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুরাগীদের আরও হতাশায় ডুবিয়েছে।
এমন কী শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচেও বাংলাদেশের জয়কে ছাপিয়ে গেছে ‘টাইমড আউট’ বিতর্ক – শ্রীলঙ্কার ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের বিরুদ্ধে ওই আবেদন পুরোপুরি আইনসম্মত হলেও বাংলাদেশ কাজটা ঠিক করেছে কি না, ক্রিকেট দুনিয়া কিন্তু তা নিয়ে এখনও মোটামুটি দু’ভাগ!